ইমরুল শাহেদ: [২] যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টা ধরে পর্যালোচনা করেছে যে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না এবং এমন সুযোগ থাকলে তার অর্থ আসলে কী দাঁড়ায়। এর জবাবই নির্ধারণ করবে ২০২০ সালের নির্বাচনকে নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারের মুখোমুখি হবেন কি না। সূত্র: বিবিসি

[৩] সিদ্ধান্ত যাই হোক, প্রত্যেক বিচারক ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এটিই যুক্তরাষ্ট্রের আগামী দিনের গণতন্ত্রের নতুন রূপ দেবে। বিচারক নেইল গরশুচ বলেছেন, ‘আমরা একটি যুগের জন্য রায় লিখছি।’ 

[৪] এ বিষয়ে আদালতের নির্ধারিত যুক্তিতর্কের একদিন পর বিশেষ সেশনে মামলাটির শুনানি হয়েছে। এর ভিত্তি ছিল মূলত ট্রাম্পের এই দাবি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্তব্যরত থাকার সময় তিনি যে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। ট্রাম্পের মতে এই দায়মুক্তিই হবে স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের আনা অভিযোগ থেকে তার রক্ষাকবচ।

[৫] এই দায়মুক্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত তার বিচার স্থগিত থাকবে। জুনে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিচারকরা যে প্রশ্ন তুলেছেন তা তাদের মধ্যে বিভক্তির একটি ইঙ্গিত মিলেছে। ফলে একটি বিভক্ত সিদ্ধান্তই আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

[৬] তাদের বিভক্তির জেরে আরও জটিল সিদ্ধান্তও আসতে পারে, যা পুনরায় বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে পারে। তাদের প্রশ্নগুলো এটিও প্রকাশ করছে যে রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং উদারপন্থী সংখ্যালঘু উভয়েই ইতিহাসের দিকে চোখ রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে চান।

[৭] একটি পূর্ণ দায়মুক্তির অর্থ কি এই দাঁড়াবে যে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বীকেও মেরে ফেলতে পারেন? কিংবা এই দায়মুক্তি না থাকলে প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিচারের মুখোমুখি হবেন বা জেলে যাবেন?

[৮] সত্তরের দশকে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ওয়াটেরগেট কেলেংকারি এবং ষাটের দশকে জন এফ কেনেডির অপারেশন মনগুজের (ফিডেল কাস্ত্রোর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা অভিযান) ঘটনায় পাওয়া বিষয়টিও তুলে আনছেন তারা। রক্ষণশীলরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের কিছুটা দায়মুক্তি থাকা উচিত। সম্পাদনা: এম খান